আজ পহেলা ফাল্গুন, ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। আর ফাল্গুনের শুরুতেই অপরূপ সাজে সেজেছে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের দু’পাশ। পাহাড় আর সাগরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া সড়টির দু’পাশে গাছে গাছে রং ছড়াচ্ছে পলাশ, শিমুলসহ নানা রঙের বাহারী ফুলে। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে আমের মুকুল ও বাহারি নানা ফুল।
পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে প্রকৃতির এমন রূপ দেখতে পর্যটকরা এখানে ভিড় করছেন। বসন্ত উৎসব উপলক্ষে হোটেল মোটেলগুলো পর্যটকদের জন্য নানা আয়োজন রেখেছে। এছাড়া পর্যটকদের জন্য প্রশাসনের পক্ষে থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবহেলায় ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের বাড়ি, সংরক্ষণে উদ্যোগ নেই
সরেজমিনে দেখা গেছে, শীত শেষের দিকে ফাল্গুনে প্রকৃতির সাজে মুখরিত সমুদ্রসহ মেরিন ড্রাইভ সড়ক দেখতে আসে পর্যটকরা। মেরিন ড্রাইভের একপাশে সবুজের সমারোহ নিয়ে উঁচু পাহাড়, আরেক পাশে সমুদ্র। দু’পাশের সারি সারি পলাশ ও শিমুল গাছে ফুটেছে বাহারি রঙের ফুল। মাঝে মাঝে আমের মুকুল ও নানা রঙের ফুল শোভা বাড়িয়েছে বহু গুণ। গাছে গাছে পাখির কলতান আর মৌমাছির গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে ভিন্ন পরিবেশ। প্রকৃতির এমন রূপ দেখে আনন্দিত পর্যটকরা।
ঢাকার সাভার থেকে আসা দম্পতি মো. সাব্বির ও রেহেনা ইয়াসমিন জানান, কক্সবাজারের সমুদ্রের টানে এখানে আসলেও ফাল্গুনের শুরুতে মেরিন ড্রাইভ রোডের দু’পাশে ফোটা পলাশ, শিমুলও আকর্ষণের একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা সমুদ্র এবং পাহাড়ের মাঝাখানে রং ছিটিয়ে দিয়ে অপরূপভাবে সেজেছে। গতবছর মিডিয়ায় মেরিনড্রাইভের এমন সৌন্দর্য্য দেখে এবার কক্সবাজার ছুটে এসেছেন তারা।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ সূত্র জানায়, মেরিনড্রাইভ সড়কে ২০১২-১৩ অর্থবছরে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির ১০ হাজার চারা রোপন করে। এসব গাছে ফুল ফোটে সড়কটি ফুলে ফুলে সুশোভিত হয়েছে। এসব গাছে পাখির কলতান আর মৌমাছির গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে ভিন্ন পরিবেশ। এর ধারাহিকতায় মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়িতে একটি ক্যাকটাস হাউজ, একটি অর্কিড হাউজ ও আরও তিন হাজার শুভাবর্ধনকারী চারা রোপন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরে চলছে ইউপি কার্যক্রম